একটি ভালবাসা ও প্রতারণার গল্প
★★★★★★★★★★★★★সত্য কাহিনী অবলম্বনে একটি সম্পূর্ণ গল্প ।
পড়ে হয়তো আপনাদের বিবেক এ
নাড়া দিতে পারে…… গল্পটা একটু বড়
এড়িয়ে যাবেন না …..
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ফেসবুক থেকে লগ আউট করার সময় হঠাত
জান্নাতুল
নামের একটি মেয়ের
আইডি দেখতে পায় আকাশ। মিচুয়াল ফ্রেন্ড
অনেক ।আকাশ এত মিচুয়াল ফ্রেন্ড
দেখে জান্নাতুল কে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট
পাঠালো।এমনিতে আকাশ খুব খুব দ্রুত
মিলতে পারে। ফেসবুক আইডি খোলার পর থেকে অনেক
অচেনা মানুষকে আপন করে নিয়েছে।
বাড়িয়েছে বন্ধত্বের হাত । অনেক
মেয়ের সাথেই তার
খোলামেলা বন্ধুত্ব । ভার্চুয়াল জগতের
এসব বন্ধুত্ব আকাশ খুব উপভোগ ও করে। এদের
মধ্যে দু একজন তার সত্যিকার ভাল বন্ধু
হিসেবেও জীবনে আবির্ভূত হয়।
দুই –তিন দিন পর জান্নাতুল হাই আকাশের রিকুয়েস্ট গ্রহন
করে । এরপর স্বভাবতই জান্নাতুল হাই আকাশ কে চ্যাট
মেসেজ দেয়।জান্নাতুল হাইও প্রতিত্তর দেয়।
শুরুটা এইভাবে । এইভাবে প্রতিনিয়তই
চলতে থাকে আকাশ আর জান্নাতুল হাই চ্যাটইন ।
জান্নাতুল হাই আগ্রহ দেখে আকাশ জান্নাতুল হাইকে তার ভাল বন্ধু
বানাতে উৎসাহ প্রকাশ করে । এরপর দিন
যায় ,সপ্তাহ যায় শুধুই ফেসবুক
চ্যাটইন ,দুজনের মধ্যে একটা ভাল বন্ধুত্ব
গড়ে উথে।পারিবারিক,বাক্তিগত
অনেক কথাই তারা শেয়ার করে।
তবে এর মাঝে সাহস করে জান্নাতুল হাই এর
কাছে মোবাইল নাম্বার চায়।জান্নাতুল হাই কোন
রকম তাল-বাহানা ছাড়াই নাম্বার
দিয়ে দেয়।এর পর মোবাইলেও তাদের
চ্যাটইন,টকইন হত। আকাশ রাত
জেগে পড়াশুনা করত আর সেই
সাথে ফেসবুক আথবা মোবাইলে জান্নাতুল হাই এর
সাথে চ্যাটইন করত ।জান্নাতুল হাই এর তেমন রাত
জাগার অভ্যাস ছিল না, তাই
মাঝে মাঝে সে ঘুমিয়ে পরতো। আর
তখুনি আকাশ মোবাইলে কল
দিয়ে জান্নাতুল হাই কে উঠিয়ে চ্যাটইন করতে বলত।
খুব সহজ আর সাবলীল ভাবে দুজনের
মাঝে বন্ধুত্ব হয়,জানতে জানতে এক সময়
শুভ্র জানতে পারে জান্নাতুল হাই পরিবার অনেক
উচ্চ শিক্ষিত হলেও তাদের
পরিবারে শান্তি ছিল না।তার মামা আর নানী
ও বড় বোন সব
সময় ঝামেলা বাধিয়ে রাখতো।
জান্নাতুল হাই কে অকারণেই বকাঝকা করতো।
একারণে জান্নাতুল হাই মন বেশিরভাগ সময়ই
খারাপ থাকতো,আর তখন আকাশ তার মন
ভালো করার আপ্রান
চেষ্টা করতো এবং করত ও ।
জান্নাতুল হাই গাইবান্দা স্কুল
থেকে ২০১৭ সালে এস এস সি পাশ করে।
আকাশ ঢাকায় পড়াশুনা করে ।তারপর জান্নাতুল হাই আকাশের পিকছার চায় , আকাশ পিকছার দেয় ”এবং জান্নাতুল হাই পিক দেখার পর আকাশ কে প্রপোজ করে ।
আই লাভ ইউ বলে। আকাশ তো ‘থ’ মেরে যায়।
জান্নতুল কে আকাশ শুধু ভাল বন্ধু হিসেবেই
দেখতো । আকাশ
রিলেশন করতে চায় না,সবার
সাথে বন্ধুত্বটাই সে উপভোগ করে আবার
সমবয়সী কারও সাথেও তো রিলেশন
করবে না বলেই তার পণ । এভাবেই
চলতে লাগলো আর জান্নতুল হাই
চাপাচাপি বাড়তে লাগলো । সে শুধু
দেখা করতে চাইছে । শেষমেষ আকাশ
দেখা করার জন্য রাজি হল । আকাশ শুধু
ভাল বন্ধু হয়ে থাকার অনুরোধ জানায় ।
কিন্তু বাড়াবাড়ি
করতে থাকে । ঘুমের ঔষধ ,ইন্সুলিন
ইত্যাদি খাবে বলে হুমকি দেয় । আকাশ বলে ঠিক আছে,তুমি আমার ধোকাবাজি করবে না তো।
জান্নাতুল হাই বলে না । এভাবেই
চলতে লাগলো ।একদিন জান্নাতুল হাই বলে তার ইমুতে কে যেন ও গুরুপ খুলছে পরে আকাশ ঠিক করতে গিয়ে অনেক চ্যাট দেখে,কিন্তু কিছু বলল না। আকাশ ভাল একটা বন্ধু
হারানোর ভয়ে বার বার
জান্নাতুল হাই কে ক্ষমা করে দেয় ।
কিন্তু বাস্তব সত্যটা একটু অন্যরকমই ছিল ।
আকাশ তখন টা জানত না ।
জানলে হয়তো অনেক আগেই ফ্রেন্ডশিপ
ব্রেক করতো । যাই হোক সেসব কথায় পরে আসা যাক।
আকাশ জান্নাতুল হাই ফোন এবং ইমু ব্যস্ত পায়।
তাকে জিজ্ঞাগাসা করলে সে মিথ্যা কথা বলত।
পরে সে আকাশের ফোন ধরত না ,এবং বলত আমার সাথে আমার মামাতো বোন থাকে।
তাই তোমার ফোন ধরিনি,কিন্তু সে অন্য কারো সাথে সময় দিত।
, , আকাশ
পরে যা নিশ্চিত
ভাবে জানতে পারে ।জান্নাতুল হাই এক প্রকার
লোভী, সার্থপর আর
সর্বশেষে চরিত্রহীনা ছিল । আকাশের
সাথে কথা বলার সময় সে অন্য
ছেলেদের সাথে rltn রেখেছে ।
পরে জান্নাতুল স্বীকার করেছে ।এমন
কি বয়সে ছোট ছেলের সাথে ও সে rltn
করেছে ।তাদের কাছ থেকে ও জান্নাতুল
টাকা দার নিতো কিন্তু ফেরত
দিতো না ।তবে সে সব
চেয়ে বেশি ব্যবহার আকাশকেই করেছে ।
আকাশ কে বিয়ে করতে চাইত সে। আকাশ কে নিজের
করে রাখা ,সাথে অন্য ছেলে দের
সাতঝে টাইম পাস ,আকাশ কে তার বয়
ফ্রেন্ড বানিয়ে সবার
কাছে বলতে লাগল। জান্নতুল হঠাৎ করে আকাশের সাথে কথা বন্ধ করে দেয়।
তার কিছু দিন পর তার ইমুতে কে যেন একটা গুরুপ খোলে।
, জান্নাতুল
সরাসরি আকাশের উপর দোষ চাপায় । কিন্তু জান্নাতুল তো আকাশ বল্ক করে রাখছে।
সে কি ভাবে গুরুপ খুলবেেআকাশ এসবের
কিছুই জানত না ।জান্নাতুলের মিথ্যে কথায় আকাশ বেশি কষ্ট পায় ।
আকাশ হারাতে লাগল তার আত্নসম্মান।একটা
চরিত্রহীনার মিথ্যে কথায় ।
জান্নাতুল আকাশের সাথে কথা বলার পর অন্য একটি ছেলের সাথে rltn করে ।
এখন ও চলছে ছেলেটি একটি এপেক্স অফিসে চাকুরী করে।
এর সাথে বেশ
খুলাখুলি রিলেশন এ গিয়েছে বলে আকাশ
শুনেছে । তারা ঘুরতে যায় এটা আকাশের
বন্ধুরা দেখেছে । হয়তো কিছু দিন পর
একে ও ব্যবহার করা শেষ
হয়ে যাবে ।তাদের কথা আর নাই
বা বললাম ।হায়রে মানুষ !!!
মানুষ নিজের স্বার্থের জন্য কত
কি করতে পারে । নিজের চরিত্র
বিসর্জন ও ?? অবশ্য এই সব মেয়েদের
মধ্যে চরিত্র বলতে কিছু ছিল
বলে মনে হয় না ।তারা জন্মায় ই
নিজেদের পিচাশ
বা চরিত্রহীনা হিসেবে পরিচিতি পাবার
জন্য । আর বন্ধুত্বের মত পবিত্র
সম্পর্ককে কালিমা লেপনের জন্য ।যখন
বন্ধুকে (!) ব্যবহার শেষ হয় তখন তাকে সবার
কাছে খারাপ
বানিয়ে নাচতে নাচতে নতুন
ব্যবহারযোগ্য বন্ধু বানায় ।
ভাবতে পারেন এমন বন্ধুত্বের কথা ??
একবার ভাবুন তো এমনটা আপনার
সাথে ঘটলে কি হত ??? নিজেকে আকাশ
জায়গায় কল্পনা করুন তো ……???
দেখুন তো জান্নাতুল কে মানুষ মনে হয়
কি না???? কি মনে হয়………………………. ????????
আপনাদের কেমন লাগলো কমেন্ট
করে জানান , জান্নাতুলদের মত কোন
মেয়েরা যেন আকাশের মত আর কোন
ছেলে কে ব্যবহার করতে না পারে সেই
জন্য শেয়ার করুন★★
0 comments: