নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় বেসরকারি একটি টেলিভিশনের জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
প্রশ্ন : আমাকে অফিসের কাজে প্রায়ই ঢাকার বাইরে যেতে হয়। মাঝেমধ্যে বাসেও ভ্রমণ করি। আমরা যখন বাসে বা যানবাহনে ভ্রমণ করি, তখন অনেক সময় দেখা যায় পথেই নামাজের সময় হয়ে যায়, যেমন : হয়তো জোহরের নামাজের সময় রওনা দিলাম, আসরের নামাজের সময় যানবাহনেই হয়ে যায়। এই সময় যদি আমি জোহর ও আসরের নামাজ একসঙ্গে আদায় করে নিই কিংবা আসর ও মাগরিব একসঙ্গে পড়ে নিই, তাহলে কি এটি জায়েজ হবে?
উত্তর : আপনি সফরের কথা উল্লেখ করেছেন, কিন্তু সফররত অবস্থায় নামাজ জমার বিষয়টি হয়তো স্পষ্ট হননি। সফরে জমা করা জায়েজ রয়েছে এবং জমা হচ্ছে দুই নামাজকে একসঙ্গে আদায় করা। কিন্তু কোন কোন নামাজ জমা করবেন, সেটি খেয়াল রাখতে হবে। কোন কোন নামাজ জমা করা জায়েজ, সেটি মনে হয় আপনার জানা নেই। সেটি হলো জোহর ও আসরকে আপনি একসঙ্গে জমা করতে পারবেন, কিন্তু আসর ও মাগরিবকে একসঙ্গে জমা করতে পারবেন না। আবার মাগরিব ও এশাকে একসঙ্গে জমা করতে পারবেন।
এই জমা করাটা দুই প্রকার। একটি হচ্ছে, জমে তাকদিম অর্থাৎ জমাটি অগ্রিম করে নিলেন, আরেকটি হচ্ছে জমে তাখির অর্থাৎ জমাটি পরে করে নিলেন। অগ্রিমটির ক্ষেত্রে আপনি একদম জোহরের আওয়াল ওয়াক্ত পর্যন্ত জোহর ও আসরকে একসঙ্গে করে পড়তে পারবেন। এ দুই নামাজ একসঙ্গে পড়ে আপনি একবারে রওনা দিতে পারবেন। আর যদি বিলম্বে পড়তে চান, তাহলে জোহর ও আসরকে একদম আসরের শেষ সময় পর্যন্ত বিলম্ব করতে পারবেন। মাগরিব ও এশাকে এশার শেষ সময় পর্যন্ত বিলম্ব করতে পারবেন।
সুতরাং এটি স্পষ্ট যে, যদি আপনি নামাজ জমা করতে চান বা জমা করার প্রয়োজন দেখা দেয়, তাহলে এ জমা করা জায়েজ। জমা করার ব্যাপারে আপনি জমে তাকদিম বা জমে তাখির যেকোনো একটি গ্রহণ করতে পারেন। এটি জায়েজ রয়েছে।
0 comments: