স্বাস্থ্য ডেস্ক: দুর্ভাগ্য হলেও সত্যি যে এখন পর্যন্ত এইচআইভি/এইডসের কোন কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি আবিস্কার হয়নি এবং সেকারণে এই রোগে আক্রান্তের অর্থ শুধুমাত্র মৃত্যু। তাই এইডস প্রতিরোধের সবচাইতে ভালো উপায় হচ্ছে সচেতনতা এবং এই বিষয়ে সতর্ক থাকা। আমাদের কিছু ভুলের কারণে আমাদের দেহ আক্রান্ত হতে পারে এই মরণব্যাধিতে। তাই সচেতন থাকুন সবসময়।
অসুরক্ষিত যৌনজীবন, ওরাল সেক্স, আক্রান্তের রক্ত শরীরে যাওয়া, বাবা-মায়ের শরীর থেকে নবজাতকের শরীরে রক্ত বয়ে আসা, ইত্যাদি নানা কারণে এইডস হতে পারে।
এইডসের বিরুদ্ধে ধীরে ধীরে হলেও প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে মানব সমাজ। অনুন্নত দেশগুলিতে যৌনতা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে এই রোগের প্রকোপ আরও কমে আসবে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক এই রোগের লক্ষণগুলো:
সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ের লক্ষণগুলো
১) দেহে লালচে দানা উঠা
২) প্রচণ্ড মাথা ব্যথা
৩) জ্বর
৪) গলা ভাঙ্গা
৫) লিম্ফগ্রন্থি ফুলে উঠা
সংক্রমণ পরবর্তী পর্যায়ের লক্ষণগুলো
১) কোনো কারণ ছাড়া দ্রুত দেহের ওজন কমতে থাকা
২) জ্বরের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া
৩) কাশি এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হওয়া
৪) হাড়ের জয়েন্টগুলো ফুলে উঠা
৫) ডায়রিয়ায় আক্তান্ত হওয়া
সংক্রমণের শেষ পর্যায়ের লক্ষণগুলো
১) ৩ মাসের বেশি সময় ধরে হাড়ের জয়েন্টগুলো ফুলে থাকা
২) মুখ কিংবা জিহ্বা বাঁকা হয়ে যাওয়া। মাঝে মাঝে সাদা সাদা দাগ পরতে দেখা যায়।
৩) দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা শুরু হয়। সবকিছু অস্পষ্ট এবং বিকৃত দেখতে পাওয়া
৪) দীর্ঘদিন ধরে ডায়রিয়ার সমস্যা থেকে যাওয়া
৫) টানা ২-৩ সপ্তাহ বা এরচাইতে বেশি সময় ধরে অনেক বেশি জ্বর থাকা
৬) মাথা ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হওয়া
৭) শুকনো কাশি এবং শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া
৮) রাতের বেলা অনেক বেশি ঘাম হওয়া
৯) প্রচণ্ড দুর্বলতা বোধ করা
বড়দের ক্ষেত্রে যেসকল লক্ষণগুলো দেখা দেয় শিশুদের ক্ষেত্রে তা ভিন্ন হয়ে থাকে
১) দৈহিক বৃদ্ধি স্বাভাবিক হারে না হওয়া
২) ওজন বৃদ্ধি না পাওয়া
৩) কানের সংক্রমণ, নিউমোনিয়া, টনসিল ইত্যাদিসহ নানা ছোটোখাটো সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করা
৪) হাঁটতে সমস্যা হওয়া
৫) বুদ্ধি ও মেধা বিকাশে দেরি হওয়া।
সূত্র: ইন্টারনেট
0 comments: