Monday, December 4, 2017

রাসুল (সাঃ) এর চেহারা মুবারক দেখতে কেমন ছিল?

SHARE

যে কোনো ব্যক্তিত্বকে উপলব্ধি করার ব্যাপারে তার দৈহিক সৌন্দর্য অনেক সাহায্য করে। মানুষের আপাদমস্তক দেহের গঠন এবং তার অংগ প্রত্যংগের সুঠামতা দ্বারা বুঝা যায় সে মানসিক, নৈতিক ও চেতনাগত দিক দিয়ে কোন স্তরের মানুষ। বিশেষত চেহারা বা মুখমন্ডলে মানবীয় চরিত্র ও কীর্তিকলাপের সমস্ত ইতিবৃত্ত লেখা থাকে। তার ওপর একটা দৃষ্টি দিলেই আমরা ওটা কোন্ ধরণের মানুষের চেহারা তা আঁচ করতে পারি।

আমরা যারা পরবর্তীকালে পৃথিবীতে এসেছি, তারা এদিক দিয়ে ভাগ্যাহত যে, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম মানুষটির অনুপম চেহারা আমাদের সামনে নেই এবং তা চর্মচক্ষু দিয়ে এ জগতে দর্শনের সুযোগও পাবনা। আমরা রসূল সা. এর দৈহিক সৌন্দর্যের যেটুকু ঝলক দেখতে পাই, তা কেবল তাঁর বাণী ও কীর্তির দর্পণেই দেখতে পাই।

দৈহিক সৌন্দর্য: আব্দুল্লাহ বিন সালাম ইহুদীদের একজন মস্ত বড় আলেম ছিলেন। তাঁর নাম ছিল হাসীন। রসূল সা. মদীনায় এলে ইনি তাঁকে দেখতে যান এবং দেখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি রসূল সা. কে দেখেই চিনে ফেলেছিলাম। তাঁর চেহারা একজন মিথ্যাবাদীর চেহারা হতে পারেনা।’’ তার যে ধারণা জন্মে সেটাই তিনি এখানে বর্ণনা করেছেন। তিনি ঈমান আনলেন এবং তার ইসলামী নাম হলো আবদুল্লাহ। (সীরাতুল মুস্তাফা, মাওলানা ইদ্‌রীস কান্ধুলতী। প্রথম খন্ড, পৃঃ ৩৪১-৩৫০)]

মুখমণ্ডল: ‘‘পূর্ণিমার চাঁদের মত গোলাকার।’’-বারা বিন আযিব। ‘‘তাঁর মুখমণ্ডল পুরোপুরি গোলাকার ছিলনা।তবে প্রায় গোলাকার।’’-হযরত আলী। ‘‘প্রশস্ত কপাল, বাঁকানো, চিকন ও ঘন ভ্রু, উভয় ভ্রু আলাদা, উভয় ভ্রুর মাঝখানে একটা উঁচু রগ ছিল, রাগান্বিত হলে এই রগ স্পষ্ট হয়ে উঠতো।’’ -হিন্দ বিন আবি হালা ‘‘কপালে আনন্দের চিহ্ন ফুটে উঠতো।’’-কা’ব ইবনে মালেক

বর্ণ: হযরত আনাস রা: বলেছেন, রাসূল (সাঃ) এর চেহারা চুনের মত সাদাও নয়, শ্যাম বর্ণেরও নয়। গমের মত রং তবে একটু সাদাটে।’’ হযরত আলী (রাঃ) বলেন, তিনি দেখতে ‘‘লালচে সাদা।’’ হযরত আবু হুরায়রা বলেন, ‘‘শরীরটা যেন রূপার তৈরী।

মহানবী (সাঃ) যেমন তুলনাহীন গুণ ও বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ছিলেন, তেমনি ছিলেন রূপের অধিকারী। ছিলেন একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ ছিলেন। মহান রাব্বুল আলামিন তাকে অতুলনীয় বৈশিষ্ট্য দান করেছিলেন। আল্লাহ পাক তার প্রিয় নবীর সম্মানে বলেছেন, ইন্নাকা লা আলা খুলুকিন আযীম’, অর্থাৎ নিঃসন্দেহে আপনি সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী’। এটি এমন তুলনাবিহীন গুণ যার কারণে মানুষ তার প্রতি ছুটে আসত। তার প্রতি মানুষের মনে ভালোবাসা ছিল বদ্ধমূল। মানবীয় গুণাবলীর সর্বোত্তম বৈশিষ্ট্যের কারণে তার স্বজাতির রুক্ষতা পুরোপুরি পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছিল। হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকেও এমন সুন্দর নৈতিক চরিত্র দান করুন। আমীন। সূত্র: মানবতার বন্ধু রাসূলুল্লাহ (সাঃ)

SHARE

0 comments: